
মোঃ মিলন আলী,ভেড়ামারা:কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলায় ফারাকপুর হাজী আফছার উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সরোজমিনে দেখা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে ২০০১ সালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে রোপণ করা দুটি মেহেগুনি গাছ কেটে প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানের নির্দেশে ট্রলিতে কাঠ মিলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ে ছুটি অবস্থায় কে বা কাহারা বিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রধান গেট বন্ধ করে আজ কদিন ধরে গাছের ডাল সহ গাছ কাটতেছে। বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত কিছু গাছের কোন নিলাম ও বিক্রয় মাইকিং করতে শুনি নাই।
আরেক ব্যক্তি জানান, প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে নির্মাণাধীন এর কাজ চলছে। গাছগুলো সেখানেও ব্যাবহার হতে পারে।
বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী শফিকুল জানান, প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মতামতে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এটা কি কাজে ব্যবহার হবে এটা জানা নেই।
ট্রলি ড্রাইভার জানান, কাঠ মিল মালিকের ফোন পেয়ে আমরা গাছগুলো নিতে এসেছি। এগুলো মাড়ায়ের উদ্দেশ্যে সরকারি কলেজ রোডের কাঠ মিলে নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, হাজী আফছার উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গাছ কাটার বিষয়ে আমি এবং আমার কোন কর্মকর্তার জানা নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদ জানান, গাছ কাটার উপজেলা পর্যায়ে একটি কমিটি আছে যেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বন বিভাগ কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নাম থাকে। গাছ কাটতে হলে বন বিভাগ টেন্ডার করে মূল্য নির্ধারণ করে দিবে। তারপর শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি কাটতে পারবে। গাছ কাটার বিষয়ে আমাকে তারা এখনো কিছু জানাই নাই।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, গাছ কাটার বিষয় আমি জানি। বিদ্যালয়ের কাজে গাছ গুলো ব্যবহার করা হবে তাই কোন মাইকিং বা নিলাম করি নাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাকে বিষয়টি জানানো হয়নি। মিটিং রেজুলেশন খাতায় এখনো বিদ্যালয় ও আমার সীল দেওয়া বাকি আছে।
প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, এটা সত্য যে আমার বাড়িতে নির্মাণাধীন কাজ চলছে। সরকারি কোন অনুদান না থাকায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলাপ করে বিদ্যালয়ে টেবিল বানানোর উদ্দেশ্যে গাছ গুলো কাটা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদিত রেজুলেশন খাতা তিনি একদিন পরে দেখাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।