
ডক্টর মোঃ শাহনেওয়াজ হেলাল: এমপিও শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ইস্যুটি সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি’জাতীয় পে স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বেতনের আনুপাতিক হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য চাকরিজনিত সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও বেতনের আনুপাতিক হারে বাড়ি ভাড়া পাওয়ার অধিকার রাখেন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ নোটিশ পাঠান। শিক্ষা সচিব, আইন সচিব ও অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। ২০০৬ সাল থেকে তারা সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন পেলেও বাড়ি ভাড়া ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। অথচ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা জাতীয় পে স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী এসব সুবিধা ভোগ করছেন।
আরও পড়ুন: ৬০ দিনেই সোয়া দুই লাখ পরীক্ষার্থীর ফল, ভিসি বললেন—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে রেকর্ড
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বর্তমান বাজারদর ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং শিক্ষক সমাজের প্রতি অবমাননাকর।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও তাদের বেতনের আনুপাতিক হারে বাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে, যা একটি স্পষ্ট প্রশাসনিক অবিচার।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেশ জাতীয় নির্বাচনমুখী, তখন শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী তিন দিনের মধ্যে জাতীয় পে স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় উচ্চ আদালতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’