
স্টাফ রিপোর্টার:যথাযোগ্য মর্যাদায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি এবং স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন ও আবাসিক হল গুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রো- ভিসি অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি বের করা হয়।র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ স্মৃতিসৌধের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
পরে একে একে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব, কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি, বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল, ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদ স্মরণে পবিত্র কুরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “১৪ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অন্যতম বড় স্মরণীয় দিন। স্বাধীনতার বিজয়ের সূর্যোদয়ের লগ্নে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। আজকে আমরা এই দিনে তাদেরকে স্মরণ করছি। তাদের আত্মত্যাগ ছিল একটি স্বাধীন, স্বনির্ভর এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে এই বাংলাদেশে। তারা জাতির জন্যে যে কল্যাণ করেছে, যতটুকু কাজ করেছে, সেই কাজটুকু আল্লাহ যেন কবুল করে।”