
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:একাধীক মামলার আসামী,পলাতক ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের দোসর মনিরুদ্দি মেম্বারের বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবী এবং ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া গ্রামের বেকাব্রীজ এলাকার আব্দুল শাহের ছেলে। এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন একই এলাকা বাসিন্দা আজিবর রহমানের পুত্র রাশিদুল ইসলাম। লিখিত অভিযোগে বলা হয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মনিরুল বিগত ১৭ বছরে এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজি,দখল বাজি, চাঁদাবাজি,ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ,নারী নির্যাতন,মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তিনি জানান এরই মধ্যে বেকাব্রীজ সংলগ্ন তার পৈত্রিক সম্পত্তি দুইতলা একটি বাড়িসহ প্রায় ৫ শতকের একটি বসত ভিটা দখলে নিয়েছে। মনিরুল ৫ আগষ্টে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ এবং জেলা বিএনপির অফিস পোড়ানো মামলার ৬৯ নম্বর আসামী। তার রয়েছে নিজস্ব অস্ত্রধারী মনিরুল বাহিনি। বর্তমানে এই বাহিনি চুরি,ডাকাতি এবং ছিনতাই করে যাচ্ছে দেশের সর্বত্র। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় এই ভূমি দস্যু আইন আদালত,পুলিশ,প্রশাসন কাউকেই তোয়াক্কা করে না। বক্তব্যে বলা হয় অস্ত্রের জোরে মানুষের সম্পদ লুট করার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানা, আর্মি ক্যাম্প, র্যাব ক্যাম্প সহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে অসংখ্যবার লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কোন সুবিচার পাওয়া যায়নি। মনিরুল বাহিনি অসংখ্য নিরিহ মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,আইনশৃংখলা বিঘœকারী অপরাধ দ্রæত বিচার আদালতের দ্রæত সি আর নং ৩৮/২৫,আদেশ নং-১ তারিখ ৩১/০৮/২০২৫ মামলায় মনিরুল,তহমিনা এবং মিশন নামের তিনজনের বিরুদ্ধে (৬৩৮৫ স্মরক তাং ০৪/১০/২০২৫) পুলিশ চার্জশীট দিয়েছে। চার্জশীটে উল্লেখ করা হয় আসামীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী,ত্রাস সৃষ্টিকারী,চাঁদাবাজ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি দলের সদস্য। আসামীরা এলাকায় তাদের সন্ত্রাসী বাহিনি দিয়ে চাঁদাবাজী করা সহ নিরিহ মানুষের জমাজমি জোরপূর্বক দখল করে আসছে। তারা রাশিদুল নামের একজনের দুটি দোকান দখল সহ ২০ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবী করে। পরে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বাড়িতে থাকা ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে রাশিদুল জানান,অস্ত্রধারী মনিরুলের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভাবে শালিক বৈঠক করা সহ ঝিনাইদহ থানায় গত,০৩/০৮/২০২৪,১৭/০৮/২০২৪,০৯/১২/২০২৪,২৮/১২/২০২৪,এবং ১৮/০৯/২০২৫ সহ ১০টি এবং সেনাবাহিনী ক্যাম্পে ৪ বার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রত্যেকবারই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলেও কালোশক্তির ক্ষমতাবলে তিনি ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে গেছেন। এ বিষয়ে মনিরুদ্দি মেম্বার বলেন আমি সব মামলায় জামিনে আছি। কোন সম্পত্তি দখল করিনি কিছু জানতে চাইলে বিকাল ৫টার পরে দেখা করতে পারেন। মনিরুদ্দির প্রতিবেশি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,তারা কলু সম্প্রদায়ের লোক এ কারনে দারুন বেপরোয়া আইন আদালত মানেতে চায় না। জোর জবরদখল লুটপাট করা তার অভ্যাস। তারা স্থানীয় হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। অপর একজন প্রতিবেশী জানান,রাশেদকে নির্মম ভাবে বিতাড়িত করে সব লুটপাট করে নিয়েছে। আমাকেও দোকান থেকে তাড়িয়ে দিয়ে পথে বসিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একাধীকবার দখল বুঝিয়ে দিলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে,সে মূলত আওয়ামীলীগের রশিদ চেয়ারম্যানের অস্ত্রধারী ক্যাডার। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ থানা পুলিশ জানায় মামলাটি অনেক পুরনো, আমরা আদালতে চার্জশীট দিয়েছি । স্থানীয়রা জানান অবিলম্বে মনিরুদ্দিনকে তার বাহিনী সহ গ্রেফতার করা না হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারে।