
শৈলকূপা রিপোর্টার:দুর্গাপূজা উৎযাপনে ভান্ডারীপাড়া গ্রামে নানা বাড়ি বেড়াতে এসেছিল নন্দিনী রানি সরকার (২০)। বিসর্জনের দিন সকালে সে বলেছিল, আজ একটু নৌকাভ্রমণে যাব বন্ধুদের সঙ্গে, নদীতে দেবীর বিদায় দেখতে। কে জানত, সেটাই হবে তার শেষযাত্রা। নন্দিনী নৌকায় বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়। আনন্দে মেতে উঠেছিল সবাই, গান বাজনা আর হাসির কলরবে ভরে উঠেছিল চারদিক।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বিসর্জনের উচ্ছ্বাসে নন্দিনীসহ কয়েকজন তরুণ-তরুণী মদ্যপান করে। রাত গড়াতেই তার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। প্রথমে ভেবেছিল সবাই সামান্য অসুস্থতা, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সে অচেতন হয়ে পড়ে।
দ্রুত তাকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও স্থিতি ফেরাতে পারেননি। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পাঠানো হয় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউতে রাতভর চলেছিল জীবন-মৃত্যুর লড়াই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই লড়াই হেরে গেল মেডিকেলের মেধাবী ছাত্রী নন্দিনী। শনিবার গভীর রাতে নিভে গেল তার প্রাণ, নিভে গেল এক স্বপ্নময় ভবিষ্যৎ। তরুণী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গিলোন্দ গ্রামের অনীল চন্দ্র সরকারের মেয়ে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
শৈলকুপা থানা ওসি মাসুম খান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।